সংক্রমণের সংখ্যা ছড়িয়ে পড়ছে বিদ্যুত গতিতে। সবকিছু খুলে দেওয়ার পর আক্রান্ত আর মৃতের সংখ্যার উল্লম্ফন বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ। এ অবস্থায় নতুন পদ্ধতির লকডাউন আরোপ করতে যাচ্ছে সরকার (যদিও বিশেষজ্ঞরা বরাবরই বলে আসছেন, দেশে লকডাউন কখনোই ছিল না, যা ছিল সেটা সাধারণ ছুটি)। ‘করোনা মানচিত্রে’র মাধ্যমে আগামীকাল থেকেই নির্দিষ্ট এলাকায় কার্যকর করা শুরু হবে এই লকডাউন। প্রথমেই আওতায় আনা হবে রাজধানী ঢাকাকে।
এই পদ্ধতিতে সফটওয়্যারের মাধ্যমে প্রতিদিন আক্রান্ত ব্যক্তিদের মোবাইল নম্বর চিহ্নিত করে মানচিত্র তৈরি করা হবে। আক্রান্তের ঘনত্ব অনুযায়ী এই মানচিত্র হবে তিন ধরনের- রেড, ইয়েলো ও গ্রিন। ঢাকার ক্ষেত্রে এই মানচিত্রের কাজ শেষ, এখন চলছে দেশের অন্যান্য এলাকার কাজ। প্রতিদিনের আক্রান্তের সংখ্যা সয়ংক্রিয়ভাবে যোগ হবে ওই মানচিত্রে।
আগামী বৃহস্পতিবারের মধ্যেই দেশব্যাপী রেড মানচিত্রের এলাকাগুলোতে লকডাউন কার্যকর করা হবে। এবার আরোপ করা হবে সর্বোচ্চ কড়াকড়ি। এর আগে লকডাউনের নাম করে সাধারণ ছুটি থাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কড়াকড়ি আরোপ করতে পারেনি। তবে এবার রেড মানচিত্রের এলাকা থেকে কাউকে বের হতে দেওয়া হবে না। ধারাবাহিকভাবে ইয়েলো চিহ্নিত এলাকাকেও নিয়ে আসা হবে লকডাউনের আওতায়, তবে সেসব এলাকার মানুষ প্রয়োজনে বাইরে বেরুতে পারবেন।
স্বাস্থ্য ও সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব হাবিবুর রহমান খান বলেন, ঢাকার তিন ধরনের মানচিত্র আমাদের হাতে চলে এসেছে। আগামীকালই (রোববার) কিছু কিছু এলাকার ব্যাপারে ঘোষণা দিতে যাচ্ছি। এভাবে বৃহস্পতিবার নাগাদ সারা দেশের চিহ্নিত এলাকাগুলোতে লকডাউনের ঘোষণা আসছে। ওইদিন আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে লকডাউনের বিষয়টি ঘোষণা করবো। কারণ ঢাকার বাইরের ‘করোনা মানচিত্র’ তৈরি করতে আরো দুই-তিনদিন সময় লাগবে।