বিভিন্ন কারণে ভারতে গিয়ে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ (কোভিড-১৯) প্রতিরোধে দেশটির সরকারের ব্যবস্থাপনার কারণে আটকে পড়েছেন দু’হাজার পাঁচশ বাংলাদেশি। এর মধ্যে এক হাজারের বেশি শিক্ষার্থী আছেন। শুক্রবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, কোভিড-১৯’র বিস্তার রোধে ভারত সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী কোনো ধরণের বিদেশি (প্রবাসী ভারতীয়সহ) ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত ভারতে প্রবেশ করতে পারবেন না। অন্যদিকে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ ভারত থেকেও কোনো বিদেশি নাগরিকের বহির্গমন নিরুৎসাহিত করার পাশাপাশি দেশটির আন্তঃরাষ্ট্রীয় যোগাযোগ ব্যবস্থাও এ মুহূর্তে বন্ধ রয়েছে। ফলে দেশটিতে বিভিন্ন কারণে যাওয়া বাংলাদেশিরা আটকে পড়েছেন।
অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে নয়াদিল্লির বাংলাদেশ হাইকমিশনসহ ভারতে অবস্থিত বাংলাদেশের মিশনসমূহ বাংলাদেশিদের কল্যাণে সর্বদা সজাগ দৃষ্টি রাখছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। মিশনের কর্মকর্তারা আটকে পড়া দুই হাজার পাঁচশ বাংলাদেশির সঙ্গে টেলিফোন, হটলাইনসহ বিভিন্ন মাধ্যমে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, আটকেপড়া প্রবাসী বাংলাদেশিরা আর্থিক বা অন্যকোন সমস্যার সম্মুখীন হলে হাইকমিশন ও অন্য মিশনসমূহ তা সমাধানে সচেষ্ট আছে। পরিবেশ ও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ভারতসহ অন্য দেশে আটকে পড়া বাংলাদেশিদের দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে সরকার দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।
ভিন্নবার্তা/এমএসআই