কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের ল্যাবে ১৭৮ জন নমুনা পরীক্ষায় ৪২ জন পজেটিভ এসেছে। তার মধ্যে নতুন শনাক্ত হয়েছে ৩৪ জন। অপর ৮ জন আক্রান্ত রোগীদের ফলোআপ রিপোর্ট। আর নতুন শনাক্তের মধ্যে একজন র্যাব সদস্য সহ ৩৩ জন কক্সবাজার জেলার ও ৪ জন নতুন করে রোহিঙ্গা রয়েছে। র্যাব সদস্য রামু উপজেলায় কর্মরত। এছাড়া নতুন আক্রান্তের কক্সবাজার সদরে ৫ জন, চকরিয়ায় ১৭ জন, উখিয়ায় ৩ জন, টেকনাফে ১ জন, পেকুয়ায় ২ জন। অপর একজন বান্দরবন জেলার। এনিয়ে কক্সবাজার জেলায় ১০ রোহিঙ্গা সহ মোট ২৩৫ জন আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত করা হল।
মঙ্গলবার বিকালে এমন তথ্য নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. অনুপম বড়ুয়া।
তিনি জানান, সোমবার কক্সবাজারের ৮টি উপজেলা, ৩৪টি রোহিঙ্গা ক্যাম্প, বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা এবং চট্টগ্রামের লোহাগাড়া থেকে মোট ১৭৮ জন সন্দেহভাজন রোগীর করোনা নমুনা সংগ্রহ করা হয়।
পরে পরীক্ষা করার পর ৪২ জনকে পজেটিভ হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে ৮ জন পুরাতন রোগীর ফলোআপ রিপোর্ট। অপর ৩৪ জনের মধ্যে রামুতে কর্মরত র্যাবের এক সদস্য, ৪ জন রোহিঙ্গা সহ কক্সবাজার জেলার ৩৩ জন রয়েছে। অপর ১ জন বান্দরবন জেলার।
এ নিয়ে কক্সবাজারে করোনায় শনাক্ত হলেন ১০ রোহিঙ্গা সহ ২৩৫ জন। যদিও কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে পরীক্ষা হওয়া আক্রান্তের সংখ্যা ২৬৩ জন। অন্যান্যরা কক্সবাজার জেলার নিকটবর্তী বান্দরবান জেলার বাসিন্দা এবং চট্টগ্রামের লোহাগাড়া ও সাতকানিয়ার বাসিন্দা।
গত ৪৮ দিনে মোট ৪২৭৭ জন সন্দেহভাজন রোগীর করোনা ভাইরাস টেষ্ট করা হয় কক্সবাজার মেডিকেল কলেজে স্থাপিত ল্যাবে। তারমধ্যে ২৬৩ জনের রিপোর্ট করোনা পজেটিভ পাওয়া গেল। এর মধ্যে মহেশখালীতে ১৩ জন, টেকনাফে ৯ জন, উখিয়ায় ৩০ জন, রামু ৪ জন, চকরিয়ায় ৭৮ জন, কক্সবাজার সদরে ৬৫ জন, কুতুবদিয়ায় ১ জন এবং পেকুয়ায় ২৫ জন রয়েছে। এর সাথে যোগ হল ১০ জন রোহিঙ্গা। অন্যান্যরা কক্সবাজার জেলার নিকটবর্তী বান্দরবান জেলার বাসিন্দা এবং চট্টগ্রামের লোহাগাড়া ও সাতকানিয়ার বাসিন্দা।