বিটিভির অতিরিক্ত পরিচালক অর্থ আতাউর রহমানের কোটি কোটি টাকার অবৈধ সম্পত্তির খোজ মিলেছে। চার দলীয় জোট সরকারের সময় নিয়োগ প্রাপ্ত এই কর্মকর্তা প্রায় ২০ কোটি টাকার অবৈধ সম্পত্তির কথা জানা গেছে।
জানা যায় যে বাংলাদেশ টেলিভিশনের এই কর্মকর্তা নিয়োগ প্রাপ্তির পর থেকেই ক্ষমতার বলে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের পাশ কাটিয়ে দুর্নীতির সকল সীমা অতিক্রম করেন।
হাওয়া ভবনের নিয়োগ প্রাপ্ত হওয়ায় চারদালিয় জোট সরকারের আমলে তার এসব দুর্নীতির ব্যাপারে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায়নি।
বর্তমানে বাংলাদেশ টেলিভিশনের শিল্পীরা তাদের শিল্পী সম্মানির টাকা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে না পাওয়ার কারণ হিসেবে বর্তমান সরকার তথা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে সাবোডেস করা হচ্ছে বলে শিল্পীরা মনে করেন। বর্তমান সরকার শিল্পী সম্মানের টাকা ৭৫ ভাগ বৃদ্ধি করেছেন।
আর এই ৭৫ ভাগ বর্ধিত শিল্পী সম্মানির টাকা শিল্পীরা পায়না আর এই টাকা লুটপাট এর জন্যই এত অনিয়ম।কারেন্ট পেমেন্ট তো খুব একটা হয় না বরং ৩ থেকে ৪ মাস কোন কোন ক্ষেত্রে ছয় মাস ও লেগেযায় এই টাকা পেতে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শিল্পী সম্মানি শাখায় কর্মরত একজন প্রবীণ অবসর প্রাপ্ত কর্মকর্তা বলেন, আগে আমাদের শিল্পী সম্মানির টাকা দিনে দিনে পরিশোধ করা হতো। নির্ধারিত অনুষ্ঠানের ধারণের দিন ডিউটি রুম থেকে শিল্পীরা শিল্পী সম্মানির চেক গ্রহণ করে বাড়ি ফিরে যেত। আর এখন এক মাসের শিল্পী সম্মানির টাকা দুই তিন মাস লেগে যায়, এটা সম্পূর্ণ অনিয়ম এবং দুর্নীতির কারণে।
ওই কর্মকর্তা আরো বলেন, জেনারেল ম্যানেজার কর্তৃক অনুমোদিত টাকা দু’একদিনের মধ্যে শিল্পীদেরকে দেয়া বাধ্যতামূলক, শিল্পীরা চেক গ্রহণ না করলে সাত দিনের মধ্যে শিল্পীদের ঠিকানায় ডাকযোগে পাঠিয়ে দেওয়া হত । অথচ বর্তমানে এজি অফিসের দোহাই দিয়ে আতাউর রহমান উক্ত শিল্পী সম্মানিত ঢাকা ২-৩ মাস অন্য খাতে ব্যবহার করে বলে জানা যায়।
এজি অফিসের এক কর্মকর্তার যোগ সাজেসে আতাউর রহমান শিল্পী সম্মানির অনুমতি টাকা বিভিন্ন মজুদদার ব্যবসায়ী, আমদানি কারক ব্যবসায়ীদের পন্য খালাসের জন্য ৪০% হারে চড়া সুদে অল্প সময়ের জন্য লগ্নি করে বলে জানা গেছে। অবশ্য এই কাজে সোনালী ব্যাংক রামপুরা শাখার ম্যানেজার জড়িত থাকতে পারে বলে অনেকের ধারনা।
শিল্পীরা তাদের পাওনা টাকার ব্যাপারে তার সঙ্গে কথা বললে একাধিক বিশেষ শ্রেণীর শিল্পী লাঞ্ছিত হয়েছে বলে অভিযোগ করেন।
আর এই সব দুর্নীতির মাধ্যমে তিনি সম্পত্তির পাহাড় গড়েছেন,,ঢাকার প্রান কেন্দ্র মালিবাগ চৌধুরীপাড়ায় রয়েছে তার দুটি বিলাসবহুল ফ্ল্যাট, যার বাজার মূল্য আনুমানিক আড়াই কোটি টাকা। আফতাব নগর হাউজিংএ তার ৮ কাঠা জায়গায় একটি বিলাসবহুল ১০ তলা ভবনের কাজ প্রায় শেষের দিকে। যার বাজার মূল্য ২০ কোটি টাকা। গ্রামের বাড়ির টিনের ঘড় এখন বহুতল বিল্ডিং। গাইবান্ধা শহরে স্ত্রীর নামে সহ নামে বেনামে রয়েছে বিঘায় বিঘায় সম্পত্তি।
মুঠোফোনে তার সাথে আলাপ চারিতায় উক্ত কর্মকর্তা এই সম্পত্তির কথা স্বীকার করে।
সূত্র : ournews24.com