1. admin-1@vinnabarta.com : admin : admin
  2. admin-2@vinnabarta.com : Rumana Jaman : Rumana Jaman
  3. admin-3@vinnabarta.com : Saidul Islam : Saidul Islam
  4. bddesignhost@gmail.com : admin : jashim sarkar
  5. newspost2@vinnabarta.com : ebrahim-News :
  6. vinnabarta@gmail.com : admin_naim :
  7. admin_pial@vinnabarta.com : admin_pial :
শিরোনাম :
অ্যাপল ও মেটাকে ৭০০ মিলিয়ন ইউরো জরিমানা পোপ ফ্রান্সিসের মৃত্যুতে বাংলাদেশে তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা পাকিস্তানের সাথে প্রধান সীমান্ত ক্রসিং বন্ধ করে দিলো ভারত গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত আরও ৪৫ ফিলিস্তিনি সারাদেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অস্থিরতা নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন: শিক্ষা উপদেষ্টা মানুষকে ইসলামের শিক্ষা দিতে এখন বেশি ভালো লাগে : লুবাবা হাসিনার নামের আগে ‘খুনি’ শব্দ মোছার চেষ্টা চলছে : সারজিস শিক্ষার্থী পারভেজ হত্যায় আরও এক আসামি গ্রেপ্তার সংকটে দক্ষিণ এশিয়ার অর্থনৈতিক ভবিষ্যৎ : বিশ্বব্যাংক নেত্রকোনায় হত্যা মামলার রায়ে একজনকে মৃত্যুদন্ড ও অপরজনকে যাবজ্জীবন

এখনো খাদ্য অধিদপ্তরে প্রভাব খাটাচ্ছে ওএমএস এর ডিলার সোহাগ

ভিন্নবার্তা প্রতিবেদক
  • প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার, ৮ অক্টোবর, ২০২৪ ৭:৩৪ pm

খাদ্য মন্ত্রণালয়ের কোন কর্মকর্তা-কর্মচারী না হয়েও গত ষোল বছর ধরে নানাভাবে প্রভাব খাটানোর অভিযোগ উঠেছে ওএমএস এর ডিলার সোহাগ নামে এক আওয়ামীলীগ কর্মীর বিরুদ্ধে। সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম ও সাধন চন্দ্র মজুমদার এবং সদ্য সাবেক খাদ্য সচিব ইসমাইলের আশীর্বাদে সোহাগ এখনো খাদ্য অধিদপ্তর নিয়ন্ত্রণ ও ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করছে বলে একাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারি অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগ রয়েছে, গত এক দশক আগেও নারায়ণগঞ্জের নিতাইগঞ্জে গমের দালাল হিসাবে পরিচিত ছিলেন সোহাগ। গত সরকারের ১৬ বছরে দুই খাদ্যমন্ত্রী ও বর্তমান খাদ্য সচিব ইসমাইল হোসেন এর আশকারায় আলাদিনের চেরাগ পেয়ে বনে যান খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অঘোষিত নিয়ন্ত্রক সম্রাট। খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম ও সাধন চন্দ্র মজুমদার এবং বর্তমান খাদ্য সচিব ইসমাইলের আশীর্বাদে সোহাগকে কেউ স্পর্শ করতে পারিনি। খাদ্য অধিদপ্তরের কতিপয় দুর্নীতিবাজ পরিচালকের সহযোগিতায় অধিদপ্তর নিয়ন্ত্রণ ও ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করে যাচ্ছে ফুডের গম সম্রাট হিসেবে পরিচিত সোহাগ। কোন পরিচালকের রুমে সাধারণের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও সোহাগ যখন ইচ্ছে তখনি প্রবেশ করছে। এতে সাধারণ কর্মকর্তা-কর্মচারিরা বিব্রত বোধ করছেন। অন্যদিকে, সাবেক খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার সম্প্রতি সে বাসা থেকে আটক হয়েছেন সেটিও সোহাগের উপহার দেয়া বাসা বলে অভিযোগ উঠেছে।
মন্ত্রণালয়ের কয়েকজন কর্মচারি অভিযোগ করেন, সোহাগ ২০০৫-২০০৬ এ একজন সাধারণ ওএমএস এর ডিলার ছিল। পরবর্তিতে ২০০৭ পর্যন্ত নামে বেনামে একাধিক ডিলার পয়েন্ট তার দ্বারা পরিচালিত হতো। এসব ডিলার কেন্দ্রে যে পরিমান বরাদ্দ ছিল তার বেশিরভাগই তিনি আত্মসাত করতেন। ২০০৭-১-১১ এর সময় যখন চালের মূল্য হঠাৎ বেড়ে যায় তখন তৎকালিন সরকার গার্মেন্টস শ্রমিকসহ নিম্ন আয়ের লোকদের স্বল্প মূল্যে চাল সরবরাহ করার উদ্যোগ গ্রহণ করলে সে, নারায়ণগঞ্জ গার্মেন্টস অধ্যুষিত এলাকা হওয়ার সুবাদে সে ঐ সময় কিছু গার্মেন্টস কর্মকর্তাদের যোগসাজোশে বরাদ্দকৃত হাজার হাজার মেঃ টন চাল না দিয়ে কালো বাজারে বিক্রি করে কোটি কোটি টাকা অবৈধভাবে আয় করে ।
পবর্তীতে সোহাগ খাদ্য অধিদপ্তরের কিছু দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের যোগসাজোশে বেনামে বিভিন্ন ময়দার মিলের নামে-বেনামে অবৈধ গম বরাদ্দ নিয়ে কোটি কোটি টাকা অবৈধভাবে আয় করেন – ২০১৫ সাল নাগাদ তার কোন ময়দার মিল ছিলনা । অদ্যবধি সে সরকারের ভাল মানের গম উচ্চ মূল্যে বাজারে বিক্রি করে, নিম্নমানের আটা নাম মাত্র মূল্যে ক্রয় করে সরকারের ওএমএস প্রোগ্রামে মোট বরাদ্ধের ২০% -২৫%, বিতরণ করেন বলেও অভিযোগ উঠেছে।
২০১২ থেকে ওএমএস কর্মসূচি শুরু হওয়ার পর থেকে ঢাকা মহানগর, ঢাকা জেলা, নারায়ণগঞ্জ জেলা, গাজিপুর জেলা ও নরসিংদী জেলার মোট বরাদ্ধের ৭০% সে নিয়ন্ত্রণ করে । ২০১৪ থেকে ২০২৪ প্রথমে সাবেক খাদ্যমন্ত্রী এড. কামরুলের আশির্বাদপুষ্ঠ হয়ে সে রাতারতি অধিদপ্তরের নিয়ন্ত্রক বনে যান, পরবর্তীতে সাবেক খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদারের কাছের লোক বনে যান। গত ১০ বছরে সে দুই মন্ত্রী ও বর্তমান সচিব ইসমাইলের সহযোগীতায় কোটি কোটি টাকার মালিক বনে যান । একটি সূত্রে জানা যায়, সদ্য সাবেক খাদ্য সচিব ও তার পরিবারকে নিয়ে গত জুন ২০২৪ এর প্রথম সপ্তাহে স্বপরিবারে সোহাগ ও সচিব পরিবার দুবাই ভ্রমণ ও শপিং বাবদ কোটি টাকা খরচ করে। সচিব তখন সুইজারল্যান্ড এবং বেলজিয়ামের সরকারি সফর অবশেষে সোহাগের সাথে দুবাইতে একত্র হন। ২০২৪ সালে বিতর্কিত নির্বাচনে সোহাগ সাধন চন্দ্রকে ২ কোটি টাকা নির্বাচন খরচ বাবদ দেন। খাদ্য সচিব ইসমাইল ঢাকা মহনগর, ঢাকা জেলা, নারায়ণগঞ্জ জেলা, গাজিপুর জেলা ও নরসিংদী জেলার বরাদ্দ সারা দেশের মোট বরাদ্ধের ৪০% বরাদ্দ দিয়ে তাকে প্রতিমাসে কোটি কোটি টাকা লুটপাটে সুযোগ করে দেন এবং বিনিময়ে সচিব প্রতিমাসে লক্ষ লক্ষ টাকা মাসোয়ারা তার কাছ থেকে নিয়ে থাকে। সোহাগ তার এই অবৈধ আয় দিয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলায় ১০ থেকে ১২ টি সুউচ্চ অট্টালিকা নির্মাণ করেন যা থেকে প্রতিমাসে সে ৬০ থেকে ৭০ লক্ষ টাকা ভাড়া পেয়ে থাকেন। এছাড়াও তার ঢাকাতেও একাধিক ফ্ল্যাট ও গাজিপুর ও নরসিংদীতে কয়েক শত বিঘা জমি রয়েছে। এছাড়া, তার দুবাই ও সৌদি আরবে কয়েক শত কোটি টাকার বিনিয়োগ রয়েছে । তার পুরো অর্থটাই বাংলাদেশ থেকে অবৈধভাবে হুন্ডির মাধমে পাঁচার করেছে ।
সোহাগ নারায়ণগঞ্জের গড ফাদার শামিম ওসমানের বিশ্বস্ত পার্টনার, সে শামিম ওসমানের সহয়তায় ব্যপক প্রভাব বিস্তার করে নৌপরিবহন সেক্টরে মিম শরৎ গ্রুপ ও শাহজালাল নেভিগেশন ২৫টি শিপের মালিক যার বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় ৫০০শত কোটি টাকা, সে শামিম ওসমানের প্রভাব বিস্তার করে খাদ্য অধিদপ্তরের অতিঃ মহাপরিচালক কর্মকর্তা হিসাবে খ্যাত আবদুল্লাহ আল মামুন এর প্রত্যক্ষ সহায়তায় খাদ্য অধিদপ্তরের চাল ও গম মাদার ভ্যাসেল পরিবহন করার জন্য মাদার ক্যারিয়ার এর লাইসেন্স অবৈধ ভাবে মালিক হয়। বর্তমানে প্রভাব বিস্তার করে এই লাইসেন্স এর মাধ্যমে খাদ্য অধিদপ্তরে মাদার ভ্যাসেল থেকে মালামাল পরিবহন করে বিপুল পরিমান খাদ্য পণ্য গায়েব করে বিপুল অবৈধ অর্থ উপার্জন করেন। তাকে এ বিষয়ে সাবেক অতিঃ মহাপরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন তাকে সহায়তা করেন । সমগ্র বাংলাদেশের মোট ওয়েমেস বিক্রয় কেন্দ্র ৯২০ টি তারমধ্যে সোহাগের নিয়ন্ত্রণাধীন রয়েছে ৩৫০ টি বিক্রয় কেন্দ্র সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম ও সাধারণ চন্দ্র মজুমদার এবং সদ্য সাবেক খাদ্য সচিব ইসমাইল হোসেন এই সোহাগের কাছ থেকে নিয়মিত অথচ সুবিধা নিয়ে সোহাগকে এই দুর্নীতি করার সুযোগ করে দেন লোভ লালসা ও দুর্নীতির কারণে সারা বাংলাদেশে প্রান্তিক জনগণ সরকারের এই মহৎ কর্মসূচির সুফল থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।



আরো




আর্কাইভ ক্যালেন্ডার

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১
১২১৩১৪১৫১৬১৭১৮
১৯২০২১২২২৩২৪২৫
২৬২৭২৮২৯৩০  

মাসিক আর্কাইভ