1. admin-1@vinnabarta.com : admin : admin
  2. admin-2@vinnabarta.com : Rumana Jaman : Rumana Jaman
  3. admin-3@vinnabarta.com : Saidul Islam : Saidul Islam
  4. bddesignhost@gmail.com : admin : jashim sarkar
  5. newspost2@vinnabarta.com : ebrahim-News :
  6. vinnabarta@gmail.com : admin_naim :
  7. admin_pial@vinnabarta.com : admin_pial :

একজন গার্মেন্টসকর্মী আক্রান্ত হলেই কারখানা লকডাউন

ভিন্নবার্তা প্রতিবেদক
  • প্রকাশের সময় : রবিবার, ৩ মে, ২০২০ ১১:২৭ pm

কারখানায় কাজ করতে এসেই যে শ্রমিকদের সামাজিক নিরাপত্তা মানতে হবে বিষয়টি এমন নয়। কারখানার প্রবেশের সময়, কাজ শেষে বের হওয়ার সময়, কারখানায় কাজ করার সময় এবং শ্রমিকদের বাসস্থানের ঘরটি যাতে সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়; তার জন্য কারখানার পক্ষ থেকে যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণ ও শ্রমিকদের সতর্ক হতে বলেছেন গাজীপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) শামসুন্নাহার।

রোববার (০৩ মে) দুপুরে গাজীপুরের শ্রীপুর পৌর এলাকার দক্ষিণ ভাংনাহাটি গ্রামে হ্যামস গার্মেন্টস পরিদর্শন শেষে পুলিশ সুপার সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। শ্রমিকরা কারখানার বাইরে থাকুক আর ভেতরে থাকুক একজন আক্রান্ত হলেই কারখানা লকডাউন হয়ে যাবে বলেও জানান তিনি।

কারখানার মালিকদের এসপি শামসুন্নাহার বলেন, অনেক কারখানায় সামাজিক দূরত্ব আছে। কিন্তু অনেক শ্রমিক একবার হাত ধুয়ে কাজে যোগদান করছেন, সেটাই কিন্তু যথেষ্ট নয়। কাজের ফাঁকেও কিন্তু হাত চোখ, নাক ও মুখে চলে যায়। কাজেই সে বিষয়ে সতর্ক থেকে বারবার হাত ধোয়ার প্রতি জোর দিতে হবে।

শ্রমিকদের বেতনভাতা সম্পর্কে পুলিশ সুপার বলেন, বেশির ভাগ কারখানা শ্রমিকদের বেতনভাতা পরিশোধ করেছে। আমরা বিভিন্ন জায়গা থেকে ফোন পাচ্ছি, যে অনেক কারখানা বেতন দেয়নি। পুলিশের পক্ষ থেকে মালিকপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে শ্রমিকদের বেতন পাওয়ার ব্যবস্থা করছি।

শ্রমিক ছাঁটাই সম্পর্কে পুলিশ সুপার বলেন, বিভিন্ন জায়গা থেকে অভিযোগ আসছে, অনেক কারখানা কর্তৃপক্ষ আইডি কার্ড ফেরত নিয়ে শ্রমিকদের কারখানা থেকে বের করে দিচ্ছেন। আমরা মালিকদের অনুরোধ করে বলতে চাই, সরকারের দেয়া প্রতিশ্রুতি অবশ্যই বাস্তবায়ন করুন। কারণ এই দুর্যোগ থেকে বের হয়ে আসার জন্য আমাদের সবার দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে।

বিভিন্ন কারখানা পরিদর্শন শেষে তিনি বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে ও শ্রমিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করে স্থানীয় পর্যায়ের শ্রমিক দিয়ে সীমিত পরিসরে কারখানা খোলার সরকারি নির্দেশনা পেয়েছি। সে মোতাবেক ২ ও ৩ মে গাজীপুরের প্রায় সব কারখানা খুলেছে। কোনো কোনো কারখানার ৮০ ভাগ আবার কোনো কোনো কারখানার ৪০ থেকে ৫০ ভাগ শ্রমিক কারখানায় এসে কাজে যোগ দিয়েছেন। কারখানাগুলোতে হাত ধোঁয়ার জন্য কর্তৃপক্ষ বেসিন লাগিয়েছে। সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য গোল গোল চিহ্ন এঁকেছে। কিন্তু শ্রমিকরা কারখানার ভেতর ঢোকার সময় একদম গাদাগাদি অবস্থায় ঢোকে; শুধু কারখানাতে সামাজিক নিরাপত্তা মানার চেষ্টা করছেন। অনেক বুঝিয়ে তাদের মানানো যায় না। সামাজিক দূরত্ব মানতে মালিক ও শ্রমিক উভয়কে দায়িত্ব নিতে হবে। তারা যেন নিজেরা বাসায় সতর্ক থাকে, বাজারে যাতে কম যায়; কারখানার ভেতর বার বার সাবান দিয়ে হাত ধোয়।

এসপি আরও বলেন, শ্রমিকরা বাইরে থাকুক আর ভেতরে থাকুক, একজন শ্রমিক আক্রান্ত হলেই কারখানা লকডাউন হয়ে যাবে। কাজেই সবার স্বার্থে, আমরা চাই ব্যবসায়ীরা ব্যবসা করে লাভবান হোক, শ্রমিকদের জীবন-জীবিকা দুটোই চলুক। কারখানা চলবে, মানুষ চলবে, জীবিকাও চলবে। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় দায়িত্বশীল আচরণ ও সততার দৃষ্টান্ত রেখে আমাদের এই বিপর্যয় থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।

ভিন্নবার্তা/এমএসআই



আরো




মাসিক আর্কাইভ