সুন্দরবন উপকূলে চোখ রাঙাচ্ছে সুপার সাইক্লোন ‘আম্ফান’। মোংলা বন্দরের মাত্র ৩৪৫ কিলোমিটারের মধ্যে পৌঁছে গেছে আম্ফান। আম্ফানের প্রভাবে উপকূল জুড়ে কিছুক্ষণ পর পর ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। সুন্দরবন উপকূলের নদ-নদীতে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৩ থেকে সাড়ে ৩ফিট পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে দুর্বল বেড়িবাঁধ। ফলে উপকূল সংলগ্ন নিম্নাঞ্চলের মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। ইতোমধ্যে সাইক্লোন শেল্টারগুলোতে যেতে শুরু করেছে মানুষ।
এদিকে, বুধবার সকাল ৬টায় মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, পিরোজপুর,বরগুনাসহ উপকূলীয় জেলা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।
খুলনা আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ আমিরুল আজাদ জানান, সকাল ৯টায় আবহাওয়ার বুলেটিনে বলা হয়েছে, সুপার সাইক্লোন আম্ফান মোংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ৩৪৫ কিলোমিটার ও পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ৩৭০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিমে অবস্থান করছিল। ‘এটি ধীরে ধীরে এগিয়ে আসছে সুন্দরবন উপকূলের দিকে। সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে মোংলা বন্দরের কাছে পৌঁছে যাবে আম্ফান। বুধবার সারা রাত ধরে আম্ফান সুন্দরবন উপকূল অতিক্রম করবে। আম্ফানের প্রভাবে গত মঙ্গলবার গভীর রাত থেকে ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। মাঝেমধ্যে বইছে দমকাসহ ঝড়ো বাতাস। সুন্দরবন সংলগ্ন নদ-নদীতে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৩ থেকে সাড়ে ৩ফুট পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ১০-১৫ ফুট অধিক উচ্চতায় জলোচ্ছ্বাসের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে। তিনি জানান, মঙ্গলবার দুপুর ১টা থেকে বুধবার সকাল ৯টা পর্যন্ত খুলনায় ২৮ মি.মিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।
এদিকে মোংলা বন্দরে অবস্থানরত ১১টি পণ্যবাহী জাহাজ, নৌযান ও টুরিস্ট বোর্ড নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে জানান মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ।
খুলনার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন বলেন, ইতোমধ্যে খুলনার ৬০ হাজার মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছে।