গাজার উত্তরাঞ্চলের মানুষ দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে রয়েছে বলে সতর্ক করেছে ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য নিযুক্ত জাতিসংঘের ত্রাণ কার্যক্রম সংস্থা (ইউএনআরডব্লিউএ’র) প্রধান ফিলিপ লাজারিনি।
তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ (সাবেক টুইটার) এক পোস্টে লিখেছেন, উত্তর গাজায় সম্ভবত দুর্ভিক্ষ ঘটতে যাচ্ছে। আমাদের এখনই অঞ্চলটিতে আরও বেশি সহায়তা কার্যক্রম চালানো প্রয়োজন।
রোববার (১০ নভেম্বর) আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
ফিলিপ লাজারিনি বলেছেন, উত্তর গাজার দুর্ভিক্ষ “মানুষের তৈরি”। ইসরায়েলি বাহিনী ক্ষুধাকে তাদের অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে। এমন কাজের জন্য ইসরায়েলকে আবারও অভিযুক্ত করা হচ্ছে।
অঞ্চলটিতে পর্যাপ্ত ত্রাণ সহায়তা দেওয়া হচ্ছে না উল্লেখ করে তিনি বলেছেন, এই অঞ্চলে গড়ে প্রতিদিন ৩০ ট্রাক খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে। যা বাসিন্দাদের বেঁচে থাকার জন্য যথেষ্ট নয়। এই পরিমাণ ত্রাণ দৈনিক চাহিদার মাত্র ৬ শতাংশের বেশি। ইসরায়েল তাদেরকে খাদ্যসহ মৌলিক অধিকারগুলো থেকে বঞ্চিত করছে। ত্রাণ কার্যক্রমে তারা বাধা দিচ্ছে।
তিনি সতর্ক করে বলেন, অবিলম্বে উত্তর গাজায় ত্রাণ কার্যক্রম বাড়াতে হবে। নইলে দুর্ভিক্ষের কবলে পড়ার যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে।
এদিকে জাতিসংঘ এক বিবৃতিতে জানায়, প্রতিনিয়ত ইসরায়েলি হামলায় গাজায় নারী ও শিশু নিহত হচ্ছে। পুরুষও বাদ যাচ্ছে না। শুধু তাই নয় তারা ত্রাণ কার্যক্রম চালাতেও সেখানে বাধা দিচ্ছে। এছাড়াও প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সামগ্রী সরবরাহেও বাধা সৃষ্টি করা হচ্ছে। এমন পরিস্থিতি চলতে থাকলে অঞ্চটির মানুষ চরম হুমকির মুখে পড়বে।
ভিন্নবার্তা ডটকম/এন