পবিত্র ঈদুল ফিতরের তিন দিনের ছুটি শেষে আজ রোববার খুলেছে অফিস-আদালত এবং ব্যাংক-বিমা ও শেয়ারবাজার। তবে এসব প্রতিষ্ঠানে কর্মজীবীদের উপস্থিতি কম।
সাধারণ নিয়মানুযায়ী, গত বৃহস্পতিবার থেকে তিনদিনের ছুটি ঘোষণা করে সরকার। সে হিসেবে ঈদের ছুটি গতকাল শনিবার শেষ হয়। ঈদের ছুটি শেষে আজ অফিস পাড়ায় যোগ দিয়েছেন ব্যাংক-বিমা, শেয়ারবাজার ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মজীবীরা।
বিশেষ করে যাঁরা ঢাকায় ঈদ করেছেন, তাঁরা এদিন অফিস করছেন। আর গ্রামে ঈদ করতে যাওয়া পেশাজীবীদের ঢাকায় ফিরতে আরও কয়েকদিন লেগে যাবে।
ফলে অফিস শুরু হলেও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতি কয়েকদিন কম থাকবে বলা যায়। কারণ, আন্তঃজেলা গণপরিবহণ বন্ধ থাকায় ঈদে গ্রামে যাওয়া মানুষদের কর্মস্থলে ফিরতে যথেষ্ট বেগ পেতে হবে। যদিও সরকার ও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা এবার নিজ নিজ অবস্থান থেকেই ঈদ পালনের আহ্বান জানিয়েছিলেন। তবে সে কথা মানেনি মানুষ।
সরকারি-বেসরকারি অফিসে তিন দিনের ঈদ ছুটি দেওয়ার জন্য বলা হলেও অনেক বেসরকারি প্রতিষ্ঠানই কয়েকদিনের অতিরিক্ত ছুটি দিয়েছে। ফলে কিছু মানুষ ফিরবেন আরও কয়েকদিন পর।
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন গত বৃহস্পতিবার এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘পবিত্র ঈদুল ফিতরের ছুটি শেষে আগামী ১৬ মে’র পর লকডাউন আরও এক সপ্তাহের জন্য বাড়তে পারে।’
‘দেশে করোনাভাইরাসের ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া গেছে। এতে মানুষের স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়তে পারে। আর এ কারণেই সংক্রমণ এড়াতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে’, যোগ করেন প্রতিমন্ত্রী।
এর আগে কোভিড-১৯ সংক্রমণ আর মৃত্যুর ঊর্ধ্বগতি রুখতে সারা দেশে গত ৫ এপ্রিল থেকে শুরু হয় সাত দিনের বিধিনিষেধ। লকডাউন শেষে দুদিন বিরতির পর গত ১৪ এপ্রিল ভোর ৬টা থেকে আটদিনের কঠোর বিধিনিষেধ শুরু হয়। সেই মেয়াদ শেষ হয় গত ২১ এপ্রিল মধ্যরাতে।
তবে করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় বিধিনিষেধের মেয়াদ ২৮ এপ্রিল মধ্যরাত পর্যন্ত বাড়ানো হয়। পরে লকডাউন বাড়ানো হয় ৫ মে পর্যন্ত। এরপর গত ৩ মে মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে আবারও লকডাউন বাড়িয়ে আগামী ১৬ মে পর্যন্ত বহাল রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
ভিন্নবার্তা ডটকম/এন