সাভারের আশুলিয়ায় শিল্প পুলিশ-১ এর কনস্টেবল মুকুল হোসেনকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনার আজ চার বছর পূর্ণ হলো। ২০১৫ সালের ৪ নভেম্বর সকালে নন্দনপার্ক সংলগ্ন নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের বাড়ইপাড়া চেকপোস্টের সামনে তাকে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এসময় ছুড়ির আঘাতে গুরুতর আহত হন নূর আলম নামের অপর পুলিশ সদস্য।
ঘটনার দিন উপস্থিত তিন পুলিশ সদস্যের দেয়া তথ্যমতে, খুনিদের বয়স ২৫ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে। সবার পরনে জিন্সের প্যান্ট ও ফুলহাতা জামা ও টি শার্ট ছিল। হামলাকারীরা ৫ জন ছিল। এদের মধ্যে তিনজন আগে থেকেই ভাইভাই রেস্টুরেন্টে বসা ছিল। পরে মোটরসাইকেলযোগে দুই যুবক এসে শুভেচ্ছা হোটেলের সামনে থামে। দুই যুবকের কাঁধে পাতলা কাপড়ের ব্যাগ ছিল। মুখে খোঁচা খোঁচা দাড়ি ওই দুই যুবক ব্যাগ থেকে ধারালো অস্ত্র বের করে হঠাৎ এলোপাতাড়ি কোপানো শুরু করে।
এতে মুকুল মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। তার সাহায্যে নূরে আলম এগিয়ে গেলে তাকেও কোপানো হয়। অন্য তিন পুলিশ সদস্য এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে পাশের ভাইভাই হোটেল থেকে তিন যুবক বেরিয়ে এসে ফাঁকা গুলি ছোড়ে। এতে ভয় পেয়ে পালিয়ে যান অপর পুলিশ সদস্যরা। পরে মোটরসাইকেলযোগে কাঁধে ব্যাগ নিয়ে ওই দুইজন দ্রæত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। বাকি তিনজন জঙ্গলের দিকে চলে যায়।
জানা যায়, এঘটনার পরদিন ৫ নভেম্বর কয়েকজন অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে মামলা (যার নং-৮) করেন তৎকালীণ আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক আজহারুল ইসলাম। আটক করা হয় ৭-৮ জন প্রত্যক্ষদর্শীদের। পরে তাদের ছেড়েও দেওয়া হয়। ঐ সময় ঢাকা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি শফিকুর রহমানকে প্রধান করে গঠন করা হয় তিনসদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি। আর মামলাটির তদন্ত ভার দেওয়া হয় তৎকালীন আশুলিয়া থানার ওসি (তদন্ত) দীপক চন্দ্র সাহাকে।
এরপর তিনি বদলি হয়ে গেলে মামলার তদন্ত ভার দেওয়া ঢাকা উত্তর গোয়েন্দা পুলিশের ওসি এএফ এম সায়েদকে। এছাড়াও হত্যাকান্ডটি নিয়ে তদন্ত করেছে সিআইডি, গোয়েন্দা পুলিশ ও পুলিশ ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো (পিবিআই)।
এব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও সাভার মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এএফএম সায়েদ জানান, আশুলিয়ার বাড়ইপাড়ায় শিল্প পুলিশ সদস্য মুকুল হত্যার তদন্ত প্রতিবেদন প্রেরণ করা হয়েছে।
শিল্প পুলিশ-১ এর পুলিশ সুপার সানা শামীনুর রহমান বলেন, শিল্প পুলিশ সদস্য নিহত মুকুলের স্মরণে আজ তাদের কার্যালয়ে মাগফিরাতের আয়োজন করা হয়েছে।
আইআই/শিরোনাম বিডি