1. admin-1@vinnabarta.com : admin : admin
  2. admin-2@vinnabarta.com : Rumana Jaman : Rumana Jaman
  3. admin-3@vinnabarta.com : Saidul Islam : Saidul Islam
  4. bddesignhost@gmail.com : admin : jashim sarkar
  5. newspost2@vinnabarta.com : ebrahim-News :
  6. vinnabarta@gmail.com : admin_naim :
  7. admin_pial@vinnabarta.com : admin_pial :
৩ বছর পূর্তিতে মেয়র আতিক

আমি নগর পিতা নই সেবক

ভিন্নবার্তা প্রতিবেদক
  • প্রকাশের সময় : শনিবার, ১৩ মে, ২০২৩ ৭:০৬ pm

ভিন্নবার্তা প্রতিবেদক: নির্বাচনী ইশতেহার অনুযায়ী গত তিন বছরে নগরের অবকাঠামো উন্নয়নে ব্যাপক কাজ করছেন ঢাকা উত্তর সিটি কপোরেশন (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম। এখনো অনেক প্রকল্পের কাজ চলমান। বাকি দুই বছরে এর ৮০ শতাংশ কাজ বাস্তবায়ন করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি নিজেকে নগরের সেবক হিসেবে দাবি করে ডিএনসিসির যত সফলতা তার কৃতিত্ব জনগণকে দিয়ে ব্যর্থতাটুকু নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছেন মেয়র আতিক।

সুস্থ্য, সচল ও আধুনিক ঢাকা গড়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ২০২০ সালে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র নির্বাচিত হন মো. আতিকুল ইসলাম।

শনিবার (১৩ মে) গুলশান-২ এ ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান কার্যালয়ে মেয়র হিসেবে ৩ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় দায়িত্ব গ্রহণের তিন বছরে ডিএনসিসির অগ্রগতির সার্বিক চিত্র ও আগামী দুই বছরের কর্মপরিকল্পনা তুলে ধরেন উত্তরের মেয়র।


সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো: সেলিম রেজা, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রি: জে: জোবায়দুর রহমান, প্রধান প্রকৌশলী ব্রি: জে: মো: আমিরুল ইসলাম সহ ডিএনসিসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও কাউন্সিলরা। এ সময় ঘূর্ণিঝড় মোখা মোকাবিলায় ডিএনসিসির সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিলসহ জলাবদ্ধতা নিরসনের সব প্রস্তুতি রয়েছে বলে জানিয়েছেন মেয়র আতিক।

মেয়র বলেন, সুস্থ্য, সচল ও আধুনিক ঢাকা গড়ার প্রত্যয় নিয়ে তিন বছর আগে দায়িত্ব গ্রহণ করি। আমি জনগণের প্রতি দায়বদ্ধ। নগরের সেবক হিসেবে চেষ্টা করে যাচ্ছি জনগণের জন্য কাজ করতে। তিন বছর আগে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম সেগুলোর মধ্যে অনেকগুলো কাজ করেছি, আবার কিছু কাজ করা সম্ভব হয়নি। তবে ঢাকাকে বাসযোগ্য স্মাট নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে সব প্রতিশ্রুতি রক্ষা করবো।

স্মার্ট ঢাকা গড়তে কি ধরনের কাজ করছেন তা উল্লেখ করে মেয়র আতিক বলেন, ইতিমধ্যে ডিএনসিসিতে অনলাইনে সেবার পরিধি বাড়াতে নানা পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। অনলাইনে ট্রেড লাইসেন্স প্রদানের পাইলটিং সম্পন্ন করেছি। কল্যাণপুর রিটেনশন পন্ডে হাইড্রো ইকো পার্ক নির্মাণের লক্ষ্যে বেদখল হওয়া ৩৩ একর জমি উদ্ধার করে খননের কাজ চলছে।

সুস্থ্য ঢাকা ইশতেহারে বর্জ্য ব্যবস্থাপনাকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, এরই মধ্যে আওতাধীন এলাকায় এক হাজার ২৫০ কিলোমিটার ড্র্রেন পরিষ্কার করা হয়েছে। এর মধ্যে গত বছরে খাল থেকে প্রায় ২ লাখ টন বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে। এছাড়া ১২শ পঞ্চাশ কি: মি: বর্জ্য নিয়মিত পরিস্কার করা হচ্ছে। একই সঙ্গে বাসাবাড়ির বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় নগরের বিভিন্ন এলাকায় ৫২টি সেকেন্ডারি ট্রান্সফার স্টেশন (বর্জ্য রাখার বড় ঘর) তৈরি করা হয়েছে এবং আরো নয়টি সেকেন্ডারি ট্রান্সফার স্টেশন তৈরি করা হবে। এছাড়া বর্জ্য থেকে বিদুৎ উৎপাদনের কাজ এগিয়ে চলছে বলে জানান তিনি।

মশা নিয়ন্ত্রণে অধিক গুরত্ব দেয়া হচ্ছে জানিয়ে মেয়র বলেন, ডিএনসিসি ৫৪টি ওয়ার্ডে এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। ছাদবাগান পরিদর্শনে ড্রোন প্রযুক্তির ব্যবহার করে প্রায় ২৮ হাজার বাড়ির ছাদ পরীক্ষা করেছে ডিএনসিসি। এর মধ্যে দুই হাজার ২শ বাড়িতে ছাদবাগান চিহ্নিত করেছে। ২শ বাড়িতে মশার প্রজনন ক্ষেত্র থাকার মতো পানির উপস্থিতি শনাক্ত করে তা ধ্বংস করা হয়। এছাড়া বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে মশা নিধনে ল্যাব  স্থাপনে চুক্তি সাক্ষর ও পাঠ্যপুস্তকে এডিস মশা সম্পর্কে শিশুদের সচেতনতার বিষয় অন্তর্ভক্ত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছে ডিএনসিসি।

কাউন্সিলরদের সঙ্গে নিয়ে আমরা উন্মক্ত স্থান ও পার্কগুলো ব্যবহার উপযোগী এবং দখলমুক্ত করতে কাজ করে যাচ্ছেন জানিয়ে উত্তরের মেয়র বলেন, অনেকগুলো ইতোমধ্যে সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। এগুলো করতে অনেক চ্যালেঞ্জ ছিল, আমরা সেগুলো রিকভার করেছি। আমি নির্দেশনা দিয়েছি পার্কের উন্নয়ন কাজ করতে গিয়ে যেন একটিও গাছ না কাটা হয়। গাছগুলো রেখেই আরও নতুন নতুন গাছ লাগানোর মাধ্যমে পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে হবে। আমরা সে অনুযায়ীই কাজ করে যাচ্ছি।

তিনি বলেন, বরাদ্দ না থাকলেও নতুন ১৮ ওয়ার্ড উন্নয়নে ডিএনসিসির নিজস্ব অর্থায়নে কাজ করে যাচ্ছি। ৫৪ টি ওয়ার্ডে প্রাইমারী কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন, কমান্ড সেন্টার আধুনিকায়ন, কবরস্থান উন্নয়ন, ই-ট্রেড লাইসেন্স, ক্যাশলেস লেনদেন ব্যাবস্থা সহ ঢাকাকে আধুনিকায়ন করার লক্ষ্যে ডিএনসিসি কাজ করছে বলে জানান মেয়র আতিক।

রাস্তার সিগন্যাল গুলোকে অটো করা যায় কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশের জবাবে মেয়র বলেন, বিশ্বের বেশির ভাগ দেশে এখন আর সিগন্যাল হাতে চলে না। শুধুমাত্র আমাদের দেশের সিগন্যাল হাতে চলে। ট্রাফিক সিগন্যাল ইস্যু নিয়ে চলতি মাসে মিটিংয়ে বসবো। সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের সঙ্গে নিয়ে টেকনিক্যাল সমাধান নিয়ে কাজ করব। আমরাও খুব শিগগিরই ট্রাফিক সিগন্যালকে ডিজিটালে নিয়ে আসব।

তিনি বলেন, বিদেশ থেকে একটি সফটওয়্যার নিয়ে এসেছি। লেন ভিত্তিক কাজ পরিচালনার জন্য এ সফটওয়্যার কাজ করবে। যদি কেউ লেন অমান্য করে অথবা অতিরিক্ত গতিতে যদি গাড়ি চালায় তাহলে তার গাড়ির নম্বর পর্যালোচনা করে তার বাড়ির ঠিকানায় জরিমানার স্লিপ চলে যাবে। উন্নত দেশের মতো এমন সিস্টেম উত্তর সিটিতে দ্রুত চালু হবে।

মিরপুর ১০ নম্বর শেওড়াাপাড়া ও কাজীপাড়া এলাকায় ফুটপাতে চাঁদাবাজির বিষয়ে কি ধরেনর ব্যবস্থা নেয়া এমন প্রশ্নের জবাবে আতিকুল ইসলাম বলেন, চাঁদাবাজি তথ্য পেলে সে যেই হোক তাকে গ্রেপ্তার করতে হবে। কোন চাঁদাবাজি চলবে না। আমি ইতিমধ্যে ডিএমপির সাথে আলাপ করেছি। কারো নামে যদি কোন অভিযোগের প্রমাণ পাই সে যেই হোক না কেন তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে।

উল্লেখ্য, গত ২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এ নির্বাচনে উত্তর সিটি কর্পোরেশনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ছিলেন আতিকুল ইসলাম। সেখানে নির্বাচিত হয়ে ডিএনসিসির মেয়র হন তিনি। পরে ওই বছরের ২৭ ফেব্রুয়ারি ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন আতিকুল ইসলাম। পরবর্তীতে একই বছরের ১৩ মে দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব গ্রহণ করেন তিনি।

ভিন্নবার্তা ডটকম/আরজে/এন



আরো




মাসিক আর্কাইভ