বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকারের প্রতিশ্রুতি বারবার একইরকম। কাজীর গরু কেতাবেই থাকছে, গোয়ালে নেই- এমন।’
শুক্রবার নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, “২০১৪ সালের ২৩ নভেম্বর তৎকালীন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মরহুম মোহাম্মদ নাসিম জাতীয় সংসদে বলেছিলেন, চলতি মাসেই অর্থাৎ ২০১৪ সালের নভেম্বর মাস থেকেই জেলা পর্যায়ের সরকারি হাসপাতালগুলোতে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ) ও হৃদরোগীদের জন্য বিশেষ পরিচর্যা কেন্দ্র (সিসিইউ)-এর কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। মোহাম্মদ নাসিমের প্রতিশ্রুতির ঠিক ছয় বছর পর ২০২০ সালে এসেও আওয়ামী সরকারের মুখে সেই একই কথা। একই প্রতিশ্রুতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ১৮ এপ্রিল জাতীয় সংসদে বলেছেন, প্রতিটি জেলা হাসপাতালে ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট (আইসিইউ) স্থাপন করা হবে। আওয়ামী সরকারের বারবার একইরকম প্রতিশ্রুতি ‘কাজীর গরু কেতাবেই থাকছে, গোয়ালে নেই’-এর মতো।
তিনি বলেন, ‘আমরা যখনই আওয়ামী লীগের দুর্নীতি-দুরাচারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছি, আমাদের পেছনে র্যাব-পুলিশ লেলিয়ে দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘দেশের গণমাধ্যমকে ব্যবহার করে গত এক দশক ক্ষমতাসীন সরকার জনগণকে কথিত উন্নয়নের গল্প শুনিয়েছে। কিন্তু নির্মম বাস্তবতা হলো- উন্নয়নের স্লোগানের আড়ালে গত এক দশকে দেশে দুর্নীতির অর্থনীতি প্রতিষ্ঠা করা ছাড়া আর কিছুই হয়নি। করোনার প্রকোপের মধ্যেও সরকার দুর্নীতির সংবাদ আড়াল করার জন্য প্রায় প্রতিদিনই সাংবাদিকদের ডেকে নিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লোকেরা ভয়ভীতি প্রদর্শন ও হয়রানি করছে।’
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘দুর্নীতি এবং দুর্নীতিবাজের বিরুদ্ধে মন্তব্যকারীদের দ্রুততার সঙ্গে যেভাবে পাকড়াও করা হচ্ছে, সেভাবে যদি দুদক ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দুর্নীতির বিপক্ষে পদক্ষেপ নিতো তাহলে দেশে আজ স্বাস্থ্য ব্যবস্থার এতটা বেহাল অবস্থা থাকতো না। দুদক হচ্ছে একটা নির্লজ্জ দলকানা প্রতিষ্ঠান। আর যদি বলা হয়, দুর্নীতির বিরুদ্ধে মন্তব্য করার জন্য নয় বরং একজন মৃত ব্যক্তির বিরুদ্ধে মন্তব্য করার কারণেই আওয়ামী লীগের জেলা পর্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ নেতা হওয়ার পরও উল্লিখিত দুই শিক্ষককে গ্রেফতার করা হয়েছে, তাহলেও দেশের জনগণ সাক্ষী, মৃত মানুষের বিরুদ্ধে কুৎসা রটনা, মৃত মানুষকে অপবাদ দেওয়া, এমনকি কবরে হামলা করার মতো অশোভন, অধার্মিক এবং নোংরা কাজটি ক্ষমতাসীন দলের লোকজনরাই করে আসছে।